এ পথের শেষে
- শাহানারা সুলতানা তানিয়া ২৭-০৪-২০২৪

এ পথের শেষে ওই সীমান্ত
যেখানে ভোরের শুরু রাতের অন্ত
পেটের ক্ষুধা যেথায় জীবনের আবীর
গন্তব্য পথের শেষে কৃষাণীর ছোট্র নীড় ।

ভোরের শিশির গেয়ে নিবীড় সুরে
জাগালো কৃষাণীরে ছাউনিভেদে ঘরে
ঘর হতে পা ফেলে জীবিকার টানে
কোলের শিশুটিও জানে বাঁচার কি মানে ।

সারাদিনে জুটে যদি কোন একটি কাজ
দুজনের রোজগারে ভালো খাবে আজ
শ্রম বেঁচে তারা কারখানা কিংবা
নির্মাণে
তালপাতার ছাউনিতে সুখ কিনে আনে ।

সন্তান এক হাঁটতে শিখেছে কোলে অন্যটি
তাদের মুখের অন্ন খোঁজে নেই কোন ত্রুটি
সেই সাঁঝসকালে বের হল ফিরতে গোধূলী
পথঘাট ধুসর হল কুয়াশায় দিল অঞ্জলী ।

নির্জন মেঠো পথ পাখপাখালীরা নীড়ে
দুএকটা খেঁকশেয়ালী দুরে হাঁক ছাড়ে
রাস্তায় পড়ে রয় শেষ বিকেলের আভা
কুয়াশা ভেজা মাটি আর দুই ধারের দুর্বা ।

সবই মিলেমিশে জড়ানো এক আবেগ
পথের বুকে দুই কর্মজীবি মায়ের উদ্বেগ
অাঁধার যে ঘনিয়ে এল পথ বুঝি আরও বাকি
আলো থাকতে ফিরতে হবে দুরপানে আঁখি ।

ঘরে ফিরে দুটো রাঁধতে হবে পরে ঘুমানো
ভোরে উঠতে হবে কাজে যাওয়ার জন্য
আবার এই পথ ধরে হাঁটবে ঘরের পানে
এইতো জীবন, বেঁচে থাকার মানে ।

আজ আর কাল নিয়ে এই পথচলার জীবন
আরও যে পথ সামনে আছে তা দেখে কজন
আজতো পথ শেষ হল কাল কি হবে এসে
অনিশ্চয়তাই থেকে গেল এ পথের শেষে ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 2টি মন্তব্য এসেছে।

showrov
২৬-০৬-২০১৬ ০৯:৪১ মিঃ

কি করে সম্ভব.......!

arifulhaquediep
০৯-০৮-২০১৫ ১৭:২১ মিঃ

কি বলবো,এক কথায় দারুণ।চালিয়ে যান কবি।